ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন? অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত কোন পোস্ট চোখে পড়লে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষের প্রশ্ন থাকে “ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন”? কিন্ত এ প্রশ্নের সহজ কোন সমাধান নেই।
কারণ ভোটার আইডি কার্ডে অনেক তথ্য থাকে এবং প্রতিটা তথ্য সংশোধন করার জন্য আলাদা আলাদা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য যে কাগজপত্র প্রয়োজন হয় ঠিকানা সংশোধন করতে সে কাগজপত্রগুলো আর কোন কাজে লাগে না।
অনুরুপরভাবে ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য জন্ম সনদ, সার্টিফিকেটসহ আরো বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় কিন্ত ভোটার আইডি কার্ড থেকে ছবি পরিবর্তণ করার জন্য এই কাগজপত্রগুলো আর কোন কাজেই লাগে না।
সুতরাং, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আপনার আইডি কার্ডে যে যে তথ্য ভুল রয়েছে তার পরিবর্তন করার জন্য সঠিক তথ্য যা হবে তার স্বপক্ষে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আজ আমরা জানাবো ভোটার আইডি কার্ডের কোন কোন ভুলের জন্য কি কি তথ্য বা কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগে।
সেই সাথে আরো জানতে পারবেন উক্ত ভুলের আবেদনগুলো কোন কোন ক্যাটাগরীর মধ্যে পড়ে।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত কোন পোস্ট চোখে পড়লে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষের প্রশ্ন থাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন”?
আরোঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন – NID Card Correction Online BD 2023
আরোঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
আরোঃ এনআইডি ছবি পরিবর্তন মাত্র ৫ মিনিটে NID কার্ডের অসুন্দর ছবি বদলে নিন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
১. ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধন
১.১) নিজের নামের বানানে যদি ভুল হয়ে যায় যেমন- আরোহি জান্নাত সোনিয়া এর পরিবর্তে আরুহি জান্নাত সনিয়া হবে তাহলে নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলো আবেদনের সাথে জমা দিবেন।
ক) আবেদনকারীর পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)। যদি সার্টিফিকেট কারো থাকে না তাহলে জমা দেওয়া লাগবে না।
খ) অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
গ) পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে)।
ঘ) ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি (যদি থাকে)।
ঙ) সন্তানদের জন্ম সনদ/সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।
চ) কাবিননামা/বৈবাহিক সনদ এর ফটোকপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)।
ছ) স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)।
এই কাগজপত্রগুলো জমা দেওয়ার পর নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরমে উল্লেখিত নাম ও প্রদত্ত স্বাক্ষর চেক করে দেখবে। এই ধরণের আবেদনগুলো সাধারণত “ক” ক্যাটাগরীর মধ্যে পড়ে থাকে এবং এগুলো সংশোধন করা হয় উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে।