নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ – এনআইডি করতে কি কি প্রয়োজন?

72

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ – এনআইডি করতে কি কি প্রয়োজন? ভোটার আইডি কার্ড বা বর্ণ পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে NID কার্ড পৃথিবীর সকল দেশের বৈধ নাগরিকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সনদ। নাগরিকদের ভোটার আইডি কার্ড দেশের পরিচয় বহন করে।

এই ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কোন দেশের বৈধ নাগরিক তা জানা সম্ভব। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন পাসপোর্ট তৈরি, সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন, বিভিন্ন চাকরির আবেদন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য এবং আজকাল ভ্যাকসিনগুলি পরিচালনা করার জন্য।

আমাদের প্রতিদিন এই ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি আমাদের আজকের নিবন্ধটি পড়েন, তাহলে আপনি জানতে পারবেন। নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ – এনআইডি করতে কি কি প্রয়োজন?।

আপনার বয়স কি 18 বছর বা তার বেশি হলে আপনি একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যোগ্য। এখন আপনি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি আমাদের সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়েন তবে আপনি অনলাইন ভোটার আইডি কার্ডের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আপনি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ – এনআইডি করতে কি কি প্রয়োজন?, নতুন ভোটার নিবন্ধন, নতুন ভোটার আবেদন ফর্ম, ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতক্ষণ সময় লাগে সে সম্পর্কে আরও বিশদ জানতে পারেন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ – এনআইডি করতে কি কি প্রয়োজন?

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয়পত্রে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এবং এই প্রক্রিয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপনি যদি বাংলাদেশের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং আপনার বয়স 18 বছর পূর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন সমাপ্তির লগইন একটি পিডিএফ ফাইল পাবে এটি A4 আকারের কাগজে প্রিন্ট করা উচিত। এর সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র/কাগজপত্র সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।

কয়েকদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সম্পন্ন হবে। তারপর আপনি অনলাইনে আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাবেন। নতুন ভোটার আইডি কার্ডের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উপস্থাপন করা হলো।

ভোটার হওয়ার যোগ্যতা / ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা

বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

আপনার বয়স কমপক্ষে 18 বছর হতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আগে আবেদন না করা নিশ্চিত করতে হবে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যা প্রয়োজন

  • নতুন ভোটার আইডি কার্ড পেতে হলে প্রথমে অনলাইনে আবেদন সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আগে আমরা বলেছিলাম যে আবেদনের শেষে একটি পিডিএফ পাওয়া যাবে।
  • এই আবেদনের সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডের আবেদনের সাথে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে এমন সব কাগজপত্র নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
  • SSC সহ সকল সার্টিফিকেটের ফটোকপি (যা বয়স প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে)
  • জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি (বাংলা ও ইংরেজি)।
  • বাবা-মা, ভাই-বোনের NID কার্ডের ফটোকপি
  • বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি (যা ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে)
  • ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলে বাড়ি ভাড়ার রশিদের ফটোকপি
  • হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ (ঠিকানা প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে) ফটোকপি
  • মোবাইল নম্বর
  • রক্তের গ্রুপ প্রমাণের ফটোকপি
  • বিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কাবিননামা/বিবাহ সনদের ফটোকপি
  • স্বামী/স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা ম্যানুয়ালি করা যেতে পারে। তাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে নিজেই অনলাইনে NID আবেদনটি পূরণ করুন।

আরোঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?

আরোঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন – NID Card Correction Online BD 2023

আরোঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম

আরোঃ এনআইডি ছবি পরিবর্তন মাত্র ৫ মিনিটে NID কার্ডের অসুন্দর ছবি বদলে নিন

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ (ধাপ-1)

একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে প্রথমে আপনাকে যেকোনো ডিভাইস (যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার) থেকে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

আপনার সম্পূর্ণ নাম ইংরেজিতে এবং জন্ম তারিখ লেখতে হবে। তবে অবশ্যই সকল তথ্য আপনার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।

এখানে ভুল তথ্য প্রদান করলে পরবর্তীতে সংশোধনের কোন সুযোগ নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলায় ফরম হলে বহাল বাটনে অথবা ইংরেজিতে ফরম হলে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

এখানে আপনার সক্রিয় একটি মোবাইল নাম্বার দিন এবং তারপর Send SMS অথবা বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।

এখান থেকে আপনার পছন্দমত ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Continue বাটনে ক্লিক করলে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই এই তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে (ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড)।

পরবর্তীতে যেকোন কাজে এটি ব্যবহার করতে যেমন- কোন কিছু এডিট করতে অথবা আইডি ডাউনলোড করতে এ তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ (ধাপ-২)

  • এতক্ষণ অর্থাৎ প্রথম ধাপে আলোচনা করেছি শুধুমাত্র অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
  • এখন আমরা আলোচনা করবো কিভাবে প্রোফাইল এটি করবেন।
  • এখান থেকে আমরা Profile Details/বিস্তারিত প্রোফাইল এ ক্লিক করব।
  • তারপর edit বাটনে ক্লিক করলে নিচের পেইজের ন্যায় স্ক্রীন আপনার সামনে আসবে।
  • এখানে আমাদেরকে তিনটি প্রকারের তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন- ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, ঠিকানা। এ সকল তথ্য দেয়ার জন্য এডিট বাটনে ক্লিক করলে নিচের স্ক্রীনের ন্যায় পেইজ ওপেন হবে।
  • এখানে আপনি আপনার নাম (বাংলায় ও ইংরেজিতে), আপনার জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার তথ্য, ব্লাড গ্রুপ, জন্ম স্থান, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, লিঙ্গ, স্বামী/স্ত্রীর তথ্য সহ সকল তথ্যাদি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
  • উল্লেখ্য আবশ্যক, কিছু কিছু ঘরে লাল স্টার তথ্য রয়েছে সেগুলো বাধ্যতামূলক পূরণ করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্যাদি পূরণ করার পর পরবর্তী/ নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর নিচের ছবির ন্যায় অন্যান্য তথ্য এর ফরমটি আসবে।
  • এখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, পাসপোর্ট নম্বর, ধর্ম, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি ফিলাপ করতে হবে।
  • এরপর Next/ পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে নিচের ছবির মত ঠিকানা/Address ফরমটি ওপেন করুন।
  • এখান থেকে স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা সঠিক ভাবে পূরন করবেন। এই ফরমে আপনি উল্লেখ করে দিতে হবে বর্তমান ঠিকানায় নাকি স্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হবেন।
  • উপরের সকল তথ্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করে নেক্সট বা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
  • এখন নিচে থাকা ইন্টারফেসটি আসবে। এখানে প্রয়োজনীয কাগজপত্রাদি আপলোড করার জন্য পেইজটি আসবে।
  • কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে কাগজপত্র আপলোড কোন প্রয়োজন নেই। এবার Next এ ক্লিক করে পরবর্তী স্টেপে যান।
  • একটি পেইজ আসবে। সাবমিট বাটনে ক্লিক করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন সম্পন্ন করুন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ (ধাপ-৩)

আপনি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ধাপে ধাপে শিখতে এবং বুঝতে পারছেন। এ ধাপে আপনি আপনার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে A4 সাইজ কাগজে প্রিন্ট করতে হবে।

প্রিন্টকৃত আবেদন ফরমে ৩৩নং কলামে আবেদনকারীর স্বাক্ষরের স্থানে আপনার স্বাক্ষর দিতে হবে।

৩৪ নং কলামে সনাক্তকারী হিসেবে পিতা বা মাতা অথবা নিকট আত্মীয়ের এনআইডি নম্বর দিতে এবং ৩৫ নং কলামে সনাক্তকারীর স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।

৪০ নং কলামে যাচাই কারীর (ইউপি সদস্য) নাম, ৪১ নং কলামে যাচাইকারীর ভোটার আইডি নম্বর এবং ৪২ নং কলামে যাচাইকারীর স্বাক্ষর প্রদান করে আবেদন পত্র সম্পন্ন করতে হবে।

এরপর, উক্ত প্রিন্ট করা অনলাইন আবেদন ফরমের সাথে কিছু কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করতে হবে যা ইতিপূর্বেও বলছি। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে আবারও নিচে উল্লেখ করলাম।

  • অনলাইনে পূরণকৃত আবেদন ফর্মের প্রিন্ট কপি
  • এসএসসিসহ সকল সার্টিফিকেট এর ফটোকপি (যা বয়স প্রমাণে ব্যবহার হবে)
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাংলা ও ইংরেজি) ফটোকপি
  • পিতা-মাতা, ভাই-বোনের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি (যা ঠিকানা প্রমাণে ব্যবহার হবে)
  • ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলে বাড়ি ভাড়ার রশিদ ফটোকপি
  • হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ (ঠিকানা প্রমাণে ব্যবহার হবে) ফটোকপি
  • ব্লাড গ্রুপ এর প্রমাণ পত্রের ফটোকপি
  • বিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কাবিননামা / বিবাহ সনদ ফটোকপি
  • স্বামী/স্ত্রী এর ভোটার আইডি কার্ড

এ সকল কাগজপত্রাদি সহ আবেদন ফরমটি আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিস এ জমা দিতে হবে। অত্র কার্যালয় সকল কাগজপত্রাদি যাচাই এবং বাছাই এর মাধ্যমে সকল তথ্য ঠিক থাকলে পরবর্তীতে কার্যক্রমের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

বায়োমেট্রিক প্রদান (ধাপ-৪)

৩নং ধাপে উল্লেখিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সকল কাগজপত্র সহ নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন ফরম নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার পর এগুলা কর্মকর্তাগণ যাচাই বাছাই করবেন। এরপর আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য যোগাযোগ করতে বলা হবে।

আপনাকে ভোটার হয়ার পর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে একটি রিসিটও দেয়া হবে। আপনি রিসিট ব্যবহার করে আপনার NID বের করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে

বায়েমেট্রিক প্রসেসিং সমাপ্তি হলে ১০ থেকে ১৫ দিন পর আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হলেই আপনার নির্ধারিত মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে। এসএমএস পাওয়ার পর অনলাইন হতে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যাবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here